আধুনিক ডাক্তারি পথভ্রষ্ট বিজ্ঞান:

            যন্ত্রবৎ চিকিৎসায় বিস্মৃত নিরাময়ের শিল্পকলা


-      ড. ফারুক উদাওদিয়া

      

রোবট চালিত চিকিৎসার উদ্ধত আগমন বার্তা মহানগরীর পথে পথে। সেই দানবিক বিজ্ঞাপনে মুখ ঢাকছে ডাক্তারি বিদ্যার মৌলিক আদর্শ ও শিক্ষা। বিশেষজ্ঞ-বিভূষিত কর্পোরেট হাসপাতালের দাপটে কি অস্তমিত হচ্ছে নিরাময়ের শিল্পকলা ? হারিয়ে যাচ্ছেন পাড়ার চিকিৎসকেরা ? বিপন্ন হচ্ছে চিকিৎসক এবং রোগীর অতি প্রয়োজনীয় সম্পর্কের বাঁধন?

এসব নিয়ে ২০০৯ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষক এবং দার্শনিক ডক্টর ফারুক উদাওদিয়া একটি বই লিখেছিলেন। তার নাম ছিল দা ফরগটেন আর্ট অফ হিলিংস এন্ড আদার এসেস। আমাদের দেশে ক্রিটিকাল মেডিসিনের পথপ্রদর্শক এই চিকিৎসক মুম্বাইয়ের জে জে হাসপাতালে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন এবং ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ক্রিটিকাল কেয়ারের কর্ণধার ছিলেন। অতি সম্প্রতি তিনি একটি বই লিখেছেন যার নাম, তবিয়ত- মেডিসিন এন্ড হিলিং ইন ইন্ডিয়া এন্ড আদার এসেস। সেই বই সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি মুম্বাই মিরর পত্রিকায় একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। আজকের দিনে প্রাসঙ্গিকতার কথা মনে রেখে, সেই সাক্ষাৎকারের একটি অংশ অনুবাদ আকারে প্রকাশ করা হলো।

প্রশ্নঃ অন্যান্য বইয়ের মত আপনার সদ্য প্রকাশিত বইটিতেও চিকিৎসাশাস্ত্রে বিভিন্ন মানবিক বিষয়ের গুরুত্ব উঠে এসেছে, এর কারণ কি?

উঃ ( ড. ফারুক ঊদাওদিয়া)  মানবিক বিদ্যার নানান শাখা আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে। যদি আপনি বুঝতে সমর্থ হন একজন ব্যক্তি মানুষের জীবন কিভাবে যাপিত হয়, তাহলে তার শরীর সম্পর্কে জানার কাজটাও অনেক সহজ হয়ে যায়। কবিতা এবং সাহিত্য অবশ্যই পড়া উচিত কারণ এসবের মধ্য দিয়েই আপনি অনুভব করবেন মানুষের দুঃখ কষ্টের নানান রূপ গুলো কি হতে পারে। যদি একবার মানুষের কষ্ট গুলোকে বুঝতে পারেন তাহলে তার কষ্টের কারণ যে অসুখ, সেটা মোকাবিলা করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

 

প্রশ্নঃ সঙ্গীতের ও ভুমিকা আছে?

উঃ সঙ্গীত হলো শিল্পকলার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে প্রশ্নাতীতভাবে সংগীত কখনো কখনো সহায়ক হয়। বিশ্বযুদ্ধের সময় দেখা গেছে আহত সৈন্যরা সংগীতের প্রভাবে অনেক তাড়াতাড়ি সেরে উঠছিল। বৈজ্ঞানিকভাবে এটা প্রমাণিত সত্য যে সংগীত আমাদের মস্তিষ্কের এমন একটি অংশে প্রভাব সৃষ্টি করে যার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। ব্যক্তিগতভাবে সঙ্গীত আমাকে কষ্ট থেকে মুক্তি দেয় এবং আত্মতৃপ্তির রসদ যোগায়। ভালো সংগীত মানেই অসুখ-বিসুখের ক্ষেত্রে ভালো ফলের প্রত্যাশা করা যায়। সংগীতের সঙ্গে আমার ভালোবাসার সম্পর্কটা খুবই নিবিড়।

 

প্রশ্নঃ নিরাময়ের শিল্পকলা (Art of healing) এবং আরোগ্যের বিজ্ঞান ( Science of cure)এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কি?

ঊঃ মেডিসিন ঠিক যতটা বিজ্ঞান ঠিক ততটাই একটি শিল্পকলা। আরোগ্য হচ্ছে কোন রোগ বা সংক্রমণের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক উপায়ে হস্তক্ষেপ করা। এর বিপরীতে নিরাময় হচ্ছে মন এবং শরীরের সম্মিলিত উত্তরণ। এই দুইয়ের মধ্যে ব্যবধানটা খুব স্পষ্ট এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু পরিস্থিতি আসে যখন আরোগ্য অর্জন সম্ভব হয় না তবে উদ্বেগ এবং যন্ত্রণা থেকে অনেকটাই নিরাময় অর্জন করা সম্ভব। বরং প্রায়শই দেখা যায় সমস্যার বেশিরভাগ উৎস রয়েছে আমাদের মনোভূমিতে। আর সেখানেই প্রয়োজন হয় চিকিৎসা বিদ্যার শিল্প কলার অংশটি। কখনো আমরা আরোগ্য এবং নিরাময় দুটোই সম্ভব করে তুলতে পারি। আবার কখনো আরোগ্য ঘটাতে পারিনা তবে কিছুটা নিরাময় করতে পারি। আবার কখনো কখনো এমন পরিস্থিতি আসে যখন আমাদের চিকিৎসায় নিরাময় ঘটে কিন্তু বাস্তব অর্থে কোন দৈহিক সমস্যা বা অসুখের অস্তিত্ব থাকে না।

প্রশ্নঃতাহলে আজকের দিনের মেডিসিনের সঙ্গে চিরাচরিত ডাক্তারি চর্চার যোগসূত্র গুলি ছিন্ন হচ্ছে ঠিক কোথায়?

উঃ বর্তমান কালে মেডিসিন পথভ্রষ্ট হয়েছে কারণ সে যন্ত্র এবং প্রযুক্তির নাগপাশে আবদ্ধ হয়েছে। চিকিৎসকরা রোগীর থেকে অনেক বেশি মনোযোগ দিচ্ছে এই দুটি জিনিসের ওপর। চিকিৎসক অসুখের শনাক্ত-করণ করছেন ল্যাবরেটরীতে, রোগীর শয্যার পাশে দাঁড়িয়ে নয়।

প্রশ্নঃ তাহলে কি বলা যায় একসময়ের বহুল প্রচলিত ‘রোগীর শয্যার পাশে চিকিৎসকের অবশ্যপাঠ্য নীতিমালা’ এখন মুমূর্ষু অবস্থায় পৌঁছেছে?

উঃ  ঠিক তা নয়। তবে সেটা ভীষণভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। মেডিসিনের এই চরম অবনতির একটি প্রধান কারণ হচ্ছে সংবেদনশীলতার অভাব। যখন একজন রোগীর কথা ধৈর্য ধরে শোনা হয় এবং তাকে সযত্নে পরীক্ষা করা হয়, কেবলমাত্র তখনই চিকিৎসক এবং রোগীর মধ্যে একটি সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি হতে পারে। এই বন্ধন-ই হচ্ছে ডাক্তারি বিদ্যার মর্মবস্তু। এই কথাটি ভীষণ ভাবে সত্যি নিদারুণভাবে অসুস্থ কোন রোগীর ক্ষেত্রে। এই রোগীরা তাদের অত্যন্ত সংবেদনশীল মন দিয়ে বুঝতে পারেন চিকিৎসক তার জন্য সত্যিই কতটা মনোযোগী এবং যত্নশীল। এই ঘটনা যদি একবার ঘটতে পারে, তবে তা শুধু বিশ্বাসে পরিণত হয় না, নিরাময়ের এক বিস্ময়কর সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। সংবেদনশীলতা এবং যত্নশীলতা তাই জীবন এবং মৃত্যুর মধ্যে এক স্পষ্ট বিভেদ রেখা রচনা করতে পারে। রোগী তখন ভাবতে শুরু করে- আমার ডাক্তার যখন বলেছে আমি ভালো হব, তখন আমি ভালো হবোই কারণ আমি তাকে বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাস রোগীর দেহ-প্রকৃতিকে তখন বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। ঠিক কিভাবে করে সেটা হয়তো জানা নেই তবে এই বিশ্বাস যে কাজ করে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

প্রশ্নঃ আমরা কি প্রযুক্তিকে অস্বীকার করতে পারি?

উঃ না সেটা পারি না। তবে মেডিসিনের অন্য একটি দিক আছে যার ওপর আমাদের বেশি জোর দিতে হবে। যাই ঘটুক না কেন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি কখনো একজন রোগীর থেকে তার অসুখ এবং শরীরের ইতিহাস সঠিক ভাবে নিতে পারবে ? অথবা একজন দক্ষ চিকিৎসকের ভূমিকা নিতে পারবে যিনি রোগীর শরীর পরীক্ষা করে অসুখের সুলুক সন্ধান করেন? না কখনোই তা সম্ভব নয়। কারণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টা হলো চিকিৎসকের চোখ, কান এবং তাঁর দক্ষ হাতের স্পর্শ এমন কিছু খুঁজে পেতে পারে যা প্রযুক্তির পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়।

প্রশ্নঃ পঞ্চেন্দ্রিয় কাজে লাগিয়ে চিকিৎসকরা কিভাবে রোগ সনাক্ত করতে পারেন সে সম্পর্কে আপনি অনেক লেখালেখি করেছেন; যদি এ ব্যাপারে কিছু বলেন:

উঃ পার্কিনসন অসুখের প্রথম অবস্থায় সেটাকে ধরতে আপনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হতে পারেন যদি না ভালো করে রোগীর মুখের দিকে তাকান অথবা কোন ভঙ্গিমায় হেঁটে তিনি চিকিৎসকের ঘরে ঢুকছেন সেটা খেয়াল না করেন।

যদি কোন শিশুর প্রচন্ড জ্বরের সঙ্গে তার চামড়ায় ছোট ছোট লাল বিন্দুর মত কিছু ঠিকমত লক্ষ্য করতে ভুলে যান তাহলে কিন্তু একটি মারাত্মক অসুখকে আপনি চিনতে ভুল করবেন।

জটিল অসুখের ক্ষেত্রে, কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে এ ব্যাপারে আমাদের ভীষণ প্রয়োজন একজন জেনারেল প্রাকটিশনারের মতামত। কিন্তু তারাই এখন চিকিৎসকদের মধ্যে একটি বিরল এবং লুপ্তপ্রায় প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। আজকের দিনে জেনারেল প্রাকটিশনারা আপনার সমস্যাটা তাকে সম্পূর্ণভাবে বলার আগেই তিনি প্রেসক্রিপশন লেখা শেষ করে ফেলছেন।

দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি। পুরনো দিনের জেনারেল প্র্যাকটিশনার-রা তদন্তকারীর মত রোগীকে তীক্ষ্ণ প্রশ্ন করতেন, তাদের কথা মন দিয়ে শুনতেন এবং তাদের পাশে দাঁড়াতেন। এই স্পেশালাইজেশন বা বিশেষজ্ঞের আধিপত্য শুরু হবার আগে এই জি পি রাই ছিলেন শ্রেষ্ঠ মানের চিকিৎসক। মেডিসিন এখন নানান বিভাগে বিভাজিত। এই বিভাজনের মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে দুঃখের মর্মকথা। হৃদ-রোগ বিশেষজ্ঞ শুধুই আপনার হৃদপিন্ডের কথা ভাবছেন। তিনি কখনো ভাবছেন না আপনার সমগ্র শরীরের কথা যার একটি অংশ হচ্ছে এই হৃদযন্ত্র। একজন বিশেষজ্ঞের এই সত্যটা ভীষণভাবে জানা জরুরী যে ব্রেন,  হার্ট ,কিডনি,এবং লাংস (ফুসফুস)- এসবের উপরে রয়েছেন একজন মানুষ যার জন্য মনোযোগী হতে হবে। শুধু একটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কে আলাদাভাবে চিকিৎসা করা যায়না।

প্রশ্নঃ তাহলে কি ডাক্তারি শিক্ষার মধ্যেই বড় ফাঁক থেকে যাচ্ছে?

উঃ হ্যাঁ অনিবার্যভাবেই সেটা ঘটছে। জেনেটিক্স এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা পড়তে হচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে বায়ো কেমেস্ট্রি এবং বায়ো ফিজিক্স। এসব পড়তে গিয়ে ক্লাসরুমে অনেক বেশি সময় দিতে হচ্ছে। রোগীর সঙ্গে সময় দেবার মত সময়ের সংকুলান হচ্ছে না। ছাত্রাবাস্থায় আমরা আমরা কিন্তু সবচেয়ে বেশি শিখেছি রোগীর ওয়ার্ডে থাকার সময়।

প্রশ্নঃ এটা কিভাবে সম্ভব যে ক্লাসরুমের বদলে রোগীর শয্যার পাশেই সবচেয়ে ভালো মেডিসিন শেখা যায়?

উঃ একমাত্র রোগীর শয্যার পাশে দাঁড়িয়েই মেডিসিন শেখা যায়, পুঁথির পাতা থেকে নয়। মেডিসিন সম্পর্কে আপনি অনেক জ্ঞানগর্ভ কিতাব পড়তে পারেন এবং দক্ষতার সঙ্গে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন, কিন্তু তার মানে কি আপনি একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে উঠবেন? কখনোই না। কারণ রোগীর সঙ্গে আপনার কোন সম্পর্কই সেখানে নেই। প্রতিটি রোগী একজন অন্যজনের থেকে আলাদা। এটাই হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কোন রোগের উপস্থিতিতে তার শরীরের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে সেটা নির্ভর করে তার জিনগত কাঠামো, মানসিক অবস্থা এবং মনের জোর - এসবের ওপর। এমনকি তার শরীরের ভূগোল জানাটাও জরুরী। এসবের চেয়ে আরো জরুরী হলো রোগীর ইতিহাস কে অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে অধ্যয়ন করা কারণ একেকজন রোগীর একেক রকম প্রকাশভঙ্গি থাকে সেই সঙ্গে থাকে তাদের আচরণগত হেরফের। সেই জন্য তাদের ইতিহাস বিবৃত করার ভঙ্গিমাও বিভিন্ন ধরনের হয়।  ঠিক এই কারণেই একজন রোগীর কাছে একজন চিকিৎসক শিক্ষার্থী ও বটে। যত বেশি তথ্য রোগীর কাছ থেকে উদ্ধার করা যাবে, চিকিৎসকের জ্ঞানের স্তর ততই বাড়তে থাকবে।

চিকিৎসকের ক্ষেত্রে অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হচ্ছে ক্রমাগত নিজেকে উন্নত করা। এই উন্নত করার মূল চাবিকাঠি হচ্ছে বারবার নিজেকে প্রশ্ন করা ঠিক কোথায় আমার ভুল হয়েছিল? ভুলের জন্য কোন কারণটা দায়ী ছিল? সেই ভুল এড়াতে ঠিক কি করা সেই সময় উচিত ছিল?

প্রশ্নঃ ২০০৪ এ বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে চিকিৎসকের আবশ্যিক চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলেছিলেন।

উঃ  সেই সময় একটা কথা বলেছিলাম, “সুদখোর মহাজনের হৃদয় নিয়ে চিকিৎসা- বিজ্ঞানের মন্দিরে প্রবেশ করা উচিত নয়”।

 

-      সংকলন এবং অনুবাদঃ  ড.গৌতম দাস

-       

সৌজন্যঃ মুম্বাই মিরর পত্রিকা

মূল লেখাটির লিঙ্কঃ https://mumbaimirror.indiatimes.com/others/sunday-read/dr-farokh-e-udwadia-medicine-is-learnt-more-at-the-bedside-than-from-books/articleshow/62676135.cms#:~:text=than%20from%20books-,Dr%20Farokh%20E%20Udwadia%3A%20Medicine%20is%20learnt%20more,the%20bedside%20than%20from%20books&text=He%20is%20a%20fervent%2C%20and,reputation%20as%20India's%20best%20diagnostician.

 

Comments

  1. ডাক্তার এর যে experience,সেটার ধারকাছ যাবার মত কোনো artificial intelligence নেই। কবে হবে , অতি সুদূর ভবিষৎ এ, সেইসব ভাবা একেবারেই সময় নষ্ট। উল্টে এইসব ব্যবহার করলে, চিকিৎসা একেবারেই চরম অবনতি হবে। হবেই। আমি নিজে artificial intelligence নিয়ে কাজ করছি, করেছি। সেগুলো একেবারেই একটা বাঁধাধরা পথে চলে। কোনো রকম innovative, creative idea,প্রশ্নই ওঠে না।এগুলো একেবারেই ওই covid অতিমারীর মত, ভাওতা

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog