BANGLA ‘হু’ এর প্রস্তাবিত চুক্তি কি ঔপনিবেশিকতার নতুন দাসখত ?
- ড. গায়ত্রী পণ্ডিতরাও
“কোভিড ১৯ কে আমরা প্যান্ডেমিক ঘোষণা করছি”, সারা বিশ্বকে সন্ত্রস্ত করে
কথাগুলি বলেছিলেন হু' য়ের মহা নির্দেশক তেদ্রস। তারিখটা ছিল ১১ই মার্চ ২০২০। তারপর
থেকে পৃথিবী জুড়ে এমন সব ঘটনার ঘনঘটা হাজির হতে শুরু করল যে কোটি কোটি মানুষের জীবনে
বিভীষিকা নেমে এসেছিল। সরকারের তরফ থেকে আমরা এমন সব প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম যার ফল
হয়েছিল মারাত্মক এবং জনজীবনে দেখা গিয়েছিল তার বিধ্বংসী রূপ।
গুটি বসন্ত, প্লেগ ,স্প্যানিশ ফ্লু
- এরকম অনেক অতি মারির ঘটনার উল্লেখ মানব ইতিহাসে রয়েছে। এর সঙ্গে নতুন একটি নাম যুক্ত
হল সেটা হল কোভিড ১৯। এতদিন সকলেই জানত যে অতিমারি এমন একটি অবস্থা যখন কোন অসুখ বহু
দেশের সীমানা অতিক্রম করে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি হয়।
এখন অবশ্য আমরা জানতে পেরেছি যে গত এক দশক ধরে এই অতিমারির সংজ্ঞা এবং স্বাস্থ্য
সংক্রান্ত নানা বিষয়ের সংজ্ঞা ও শ্রেণীবিভাগ গোপনে বদলে দিয়েছে হু। ২০০৯ সালে এইচ
ওয়ান এন ওয়ান নামে মিথ্যা মহামারী ঘোষণা করার পর তারা অতিমারি’ র সংজ্ঞা থেকে “ব্যাপক
সংখ্যায় মৃত্যু এবং অসুস্থতা” শব্দবন্ধটি ছেঁটে দিয়েছিল এবং অতি সাধারণ মরসুমী ফ্লুকে
যাতে অতিমারি বা আন্তর্জাতিক মহা বিপদ হিসেবে দেখানো যায়, সেইসব বন্দোবস্ত ‘হু’ করে
রেখেছিল।
এটাই হচ্ছে চলমান আখ্যানের কেন্দ্রীয় ভাবনা যেটার বিষয়ে আমাদের অবশ্যই
একটু সতর্কভাবে ভাবা উচিত।
জীববিজ্ঞানের বিবর্তন তত্ত্ব এই শিক্ষা ই দেয় যে যখন কোন ভাইরাস তার আশ্রয়দাতা
দের মধ্যে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে উলম্ফন ঘটায়, সেটা এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া,
যা সম্পূর্ণ হতে কয়েকশো বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। অথচ ফাউসির মত লোকেরা ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল
বিজ্ঞানের তত্ত্ব’ দিয়ে আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে, প্রজাতি বদলের ক্ষেত্রে
ভাইরাসের চরিত্রের এমন পরিবর্তন বিদ্যুৎ গতিতে ঘটতে পারে। মজার বিষয় হল, প্রকৃতিগত
ভাবে যা অত্যন্ত ধীরগতির, ক্রমচলমান এবং প্রায় অদৃশ্য সেটাই ডাক্তার ফাউসি দের প্রচারের
ঠেলায় আধুনিক যুদ্ধ হিসেবে জনমানসে প্রতিষ্ঠিত হলো। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে মানুষের
জ্ঞান অর্জন এবং বিজ্ঞানের অগ্রগতির একটি ক্রমপর্যায় থাকে; তা কখনোই ফাউসি বা তেদ্রস-দের
বহু বিজ্ঞাপিত ভবিষ্যৎবাণী এবং নিদান ঘোষণা করে হয় না।
কোভিড ১৯ এর সময় হু’ সংস্থাটি যেসব নির্দেশ নামা জারি করেছে এবং পদক্ষেপ
নিয়েছে সেগুলি যদি একটু খুটিয়ে দেখা যায় তাহলে বোঝা যাবে সমস্ত পরিস্থিতিটা মূল্যায়ন
করতে এবং ব্যবস্থা নিতে হু’ এর প্রতিটি পদক্ষেপই ছিল সন্দেহজনক এবং প্রশ্ন করার মত।
একটি উদাহরণ দিলেই বোঝা যাবে। আর এন এ ভাইরাস এর ক্ষেত্রে এটা খুবই স্বাভাবিক
যে তারা দ্রুত নিজেদের রূপ বদল করে এবং এটা জীবজগতের অভিযোজনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ
যার সামগ্রিক ফল হিসেবে পৃথিবীর বুকে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে মানব জাতি হিসেবে আমরা এবং
আমাদের পূর্বসূরী কোটি কোটি ভাইরাস রা এখনো বেঁচে আছে। অথচ দেখা গেল বিজ্ঞানের এই মৌলিক
সত্যকে কাজে লাগানো হলো লোককে ভীত সন্ত্রস্ত করে তোলার জন্য এবং বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলোকে
বিকৃত করে ভ্যাকসিনের বাজার প্রসারিত করার চেষ্টা শুরু হলো।
এই লক্ষ্যেই তারা টিকার্জিত প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শ্রেষ্ঠ বলে প্রচার করতে
শুরু করল এবং প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ সংক্রমণের পর যে প্রতিরোধ তৈরি হয় তাকে দুর্বল
বলে বিজ্ঞাপিত করতে শুরু করলো। এটা ছিল একটি অত্যন্ত নিম্নমানের অবৈজ্ঞানিক প্রচার
যা আসলে ছিল জনস্বাস্থ্যের মৌলিক সত্য থেকে বহু যোজন দূরে অবস্থিত।
হু এর এইসব ত্রুটিপূর্ণ এবং ঘনঘন বদলে যাওয়া দিক নির্দেশ এবং বিধি নিয়মের
পরিণতি হিসেবে অগণিত মানুষের মৃত্যু ঘটেছে এবং তাদের অপরিসীম দুঃখ-কষ্টের শিকার হতে
হয়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষের জীবন এবং তাদের জীবিকা কে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে
চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে তেদ্রস এবং তার সংগঠন ‘হু’। তবু সেই বিপুল ব্যর্থতার পরেও
তার মধ্যে কোন অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। অম্লান বদনে তিনি ঘোষণা করে চলেছেন "কোভিড
১৯ সবচেয়ে বড় অতি মারি- এমনটা ভেবে নেবার কোন কারণ নেই" এবং "পরবর্তী অতিমারি
হতে পারে আরও বেশি ভয়াবহ"। এই নির্লজ্জ লোকটি হচ্ছে বর্তমানে বিশ্ব জনসাস্থ্যের
অধীশ্বর।
সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি যে এই তেদ্রসের নেতৃত্বে ‘হু’ একটি আন্তর্জাতিক
প্যান্ডেমিক চুক্তি চূড়ান্ত করার দিকে এগোচ্ছে। ইতিমধ্যেই তারা একটি জিরো ড্রাফট তৈরি
করেছে যা ২০২৪ সালে উপস্থাপিত করা হবে এবং সেখানে ১৯৪ টি দেশ কে বলা হবে স্বাক্ষর করার
জন্য।
ঠিক এই কারণেই পুরো বিষয়টাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার একটি প্রয়োজন দেখা
যাচ্ছে।
রোগ ব্যাধির বিষয়ে একটি মৌলিক সত্য হলো যে রোগের লক্ষণ এবং রোগের বিরুদ্ধে
শরীরের প্রতিক্রিয়া মানুষে মানুষে ভিন্ন হতে পারে এবং দুটো আলাদা কেস বা রোগীর বিষয়
কখনো সম্পূর্ণ এক রকম হয় না।
যদি হু’ এর সংজ্ঞায়িত স্বাস্থ্যের
নির্ধারক বিষয়গুলো সত্যি সত্যিই ভাবা হয়, তবে দেখা যাবে এগুলির সবকটি সম্মিলিতভাবে
কোন একটি ব্যক্তি মানুষ বা তার সামগ্রিক সমাজের স্বাস্থ্য কে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাকৃতিক,
সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিবেশ মানুষের স্বাস্থ্যকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে। অন্য প্রভাব
সৃষ্টিকারী বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে কোন ব্যক্তির স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির অবস্থা, জিনগত
বৈচিত্র্য, খাদ্য, পানীয় জল এবং নিকাশি ব্যবস্থার মত আবশ্যিক কিছু শর্ত।
খুব সহজ ভাবে বললে বলা যায় স্থানীয় বিষয়গুলোই জনস্বাস্থ্যকে মূলত নিয়ন্ত্রণ
করে। হু’ এর প্রস্তাবিত চুক্তির মূলগত ত্রুটি হচ্ছে এটাই যে তারা জনসাস্থ্যের এই মূলগত
সত্যটিকে অস্বীকার করছে এবং তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। কোন দেশে যদি স্বাস্থ্য সংকট
হাজির হয় তবে সেটা সবচেয়ে ভালো মূল্যায়ন করার ক্ষমতার অধিকারী সেই দেশের সংশ্লিষ্ট
দপ্তর এবং বিশেষজ্ঞরা। এই ক্ষেত্রে কোন আন্তর্জাতিক রণকৌশল সমস্ত দেশের ওপর চাপিয়ে
দেওয়ার অর্থ হচ্ছে জনসাস্থ্যের মূলনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা।
প্রতিটি স্বাধীন দেশের ন্যায্য অধিকার রয়েছে তাদের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য
সংকট বা মহামারী নিয়ন্ত্রণে তারা কি কৌশল নেবে সেই দিশা ঠিক করার। পৃথিবীর যেকোনো
অঞ্চলে কোন সংক্রমনের বিস্তার ঘটলে স্বাধীনভাবে সেটা মূল্যায়নই হবে বিশ্বব্যাপী কোন
ব্যবস্থা নেওয়ার পূর্ব শর্ত। সেই কারণেই সাধারণ সত্য এবং কাণ্ডজ্ঞানের বিরুদ্ধে গিয়ে
যখন ভবিষ্যতের মহামারী প্রতিরোধ করার উপায় হিসেবে প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়ার রণকৌশল,
বন্ধ দরজার ভিতরে রচিত হয়, সেটা নিঃসন্দেহে গভীর উদ্বেগ এবং সন্দেহের জন্ম দেয়। এই
ধরনের বিচিত্র বিশ্ব জনসাস্থ্য চুক্তির সঙ্গে বিশ্বের সমস্ত দেশের সাধারণ নাগরিকদের
স্বাস্থ্যের কোন সম্পর্ক নেই। উপরন্তু বিশ্বব্যাপী বাধ্যতামূলক এমন একটি স্বাস্থ্য
প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে বিধ্বংসী ভ্রান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে কোথাও অগ্নিসংযোগ হলে আগুন নেভানোর পরিবর্তে তাকে
আরো ছড়িয়ে দেবার কাজে ব্যস্ত হচ্ছে ‘হু’। স্থানীয় আকারে কোন স্বাস্থ্য সমাধান ভুল
প্রমাণিত হলে তাকে সংশোধনের সুযোগ থাকে। কিন্তু সেই মারাত্মক ভুল নীতি যখন বিশ্বব্যাপী
প্রয়োগ করা হয় তখন সংশোধনের যে অবকাশ থাকে না সেটা আমরা কোভিড ১৯ এর সময় লক্ষ্য
করেছি।
ঘটনা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী মহামারী প্রতিরোধের এই প্রস্তুতি এবং তার সম্পর্কিত
চুক্তির মূলে রয়েছে এক বিশ্ব - এক স্বাস্থ্য নীতি, যার মূল কথাই হলো সকলের জন্য একই
মাপের জামা হতে হবে। কার্যত দুনিয়াব্যাপী একটিমাত্র স্বাস্থ্যের ধারণা এবং একটি মাত্র
স্বাস্থ্য সমাধান থাকতে পারে না এবং কোথাও এসবের অস্তিত্ব নেই।
অত্যন্ত অনভিপ্রেত মনে হলেও এই প্রস্তাবিত চুক্তির একটি রাজনৈতিক দিক রয়েছে।
মুনাফাকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গাটছড়া বাধা, গেইন অফ ফাংশন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত
হওয়া এবং যে সমস্ত বিজ্ঞানী ও গবেষক এর দল এই এক বিশ্ব এক স্বাস্থ্য নিয়ে নানা পাণ্ডিত্যপূর্ণ
তথ্য দিচ্ছে তাদের স্বার্থের সংঘাত - এসব বুঝিয়ে দিচ্ছে এই চুক্তির একটি অর্থনৈতিক
এবং রাজনৈতিক পটভূমি রয়েছে। আসলে যেটা বলার, সেটা হচ্ছে এসব দেখেশুনে আর আত্ম-সন্তুষ্টি
নিয়ে থাকা যাবে না যে আমরা স্বাস্থ্যের দিক থেকে নিরাপদ সংস্থার অধীনে রয়েছি।
এখন সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে হু এর কাজকর্মে স্বচ্ছতা।
হু ক্রমাগতভাবে জনস্বাস্থ্যের মূলনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। দুঃখজনক হলেও
এটা সত্যি যে অনেক বেশি ক্ষমতা অধিগ্রহণের পথে হু’ এগোচ্ছে এবং সদস্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ
স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে অন্যায় ভাবে নাক গলানোর চেষ্টা করছে। প্রতিটি দেশের স্বাধীনতা
এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে একটি অশনি সংকেত দেখা যাচ্ছে।
খুবই বেদনা এবং অস্বস্তির সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি আমাদের দেশের কেন্দ্রীয়
সরকার এই অস্বচ্ছ চুক্তিটির বিষয়ে যেসব ধূসর বিষয়গুলো রয়েছে তাতে কোন আলোকপাত করছে
না।
সাম্প্রতিক কালের একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আয়ুষ মন্ত্রক হু’ এর সঙ্গে,
গুজরাটের জামনগরে একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে যার নাম হচ্ছে হু- গ্লোবাল সেন্টার অফ
ট্রেডিশনাল মেডিসিন চুক্তি। ঐতিহ্য এবং পরম্পরাগত চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটাই বোধহয় পৃথিবীতে
প্রথম কোন চুক্তি । বাইরের চটক দেখে চমক লাগলেও চুক্তির ভিতরে কি রয়েছে এটার সম্পর্কে
আমরা সন্দিহান।
এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে এই পরম্পরা-গত চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন আগ্রাসী
রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ নেই। ভবিষ্যতে কি ঘটবে সেটা অনুমান করা বেশ কঠিন। তবে এটা নিঃসন্দেহে
বলা যায় উল্লিখিত চুক্তির মধ্যে যে মুচলেকা দেওয়া আছে তার ফলে নিয়ন্ত্রণ হয়তো আরো
কঠোর হবে।
যতদূর আমরা জানতে পেরেছি যে এই প্রস্তাবিত চুক্তিতে এমন সব বাধ্যবাধকতা
ছড়িয়ে রয়েছে যেগুলি যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ।
কয়েকটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে এই রকম – “সমস্ত সদস্য দেশগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে
যা করতে হবে”, “শিল্পের অংশীদার এবং অন্যান্য দের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে”, “রাজনৈতিক
অঙ্গীকার সম্পাদনে নিশ্চয়তা দিতে হবে”, “এক স্বাস্থ্য - এক বিশ্বনীতি গ্রহণ করতে হবে”।
স্পষ্টভাবেই জনসাস্থ্যের সীমানা অতিক্রম করে হু’ ক্ষমতা বিস্তারে উদ্যত হয়েছে। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা, খাদ্য এবং কৃষি বিষয়ক সংস্থা FAO, পশু স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্ব সংস্থা
এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের কৃষি বিষয়ক সংগঠন ইউ এন ই পি এই চারটি ক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠান একজোট
হয়ে একটি চতুঃপাক্ষিক বোঝাপড়ায় সম্মত হয়েছে। এই কারণেই সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে যে
একটি অতি রাষ্ট্রিক ক্ষমতার প্রতিষ্ঠান হিসেবে হু’ উদ্ভূত হতে চলেছে। সেই কারণেই অত্যন্ত
সঙ্গত এবং একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হচ্ছে হু’ এর সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে থেকে এবং
চুক্তির বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরবতা পালন করে ভারত কি সত্যিই আত্মনির্ভর হতে চলেছে?
এই সময়ে আমাদের অতি প্রয়োজনীয় কর্তব্য হচ্ছে এইসব প্রশ্নগুলির সঠিক এবং
সদর্থক উত্তর খোঁজা। যদি সেটা না করি, তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার অটুট
থাকবে কিনা এবং চুক্তির নামে কোন ঔপনিবেশিক দাস-খতে আমাদের দেশকে স্বাক্ষর করতে হবে
কিনা, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দেবে।
জয় হিন্দ!
- বাংলা অনুবাদ ঃ ডঃ গৌতম দাস
লেখিকা ড. গায়ত্রী পন্ডিত রাও একজন কনসালটান্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। তিনি মহারাষ্ট্রের পুণেতে ১২ বছর ধরে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ইউনিভার্সাল হেলথ অর্গানাইজেশনের পরিচালন কমিটির সদস্য। তার বেশ কয়েকটি লেখা ইউ এইচ ও ওয়েবসাইটে http://uho.org.in/ প্রকাশিত হয়েছে।
Comments
Post a Comment